সৌদি আরবে সেহেরি খেয়ে ঘুমাবার পর আর জেগে উঠেননি প্রবাসী বাংলাদেশী

মুকুট সায়েম খোরশেদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর।২০০৮ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি প্রবাসী হন সদা হাস্যোজ্জল প্রাণবন্ত তরুণ মুকুট সায়েম খোরশেদ ।তিনি সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে থাকতেন। সেহেরি খেয়ে ঘুমাবার পর আর জেগে উঠেননি । চিরঘুমে গিয়েছেন প্রবাসী তরুণ মুকুট সায়েম খোরশেদ । ৭ জুন সেহেরি খেয়ে ঘুমাবার পর ঘুমের মধ্যেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন ।

প্রবাসী হবার পর বিভিন্ন জায়গাতে চাকরি করেছেন । নিজের ব্যবসা গুছিয়ে নিয়েছেন শেষে । রিয়াদ, বাথাহ , উজির মার্কেটে বাংলাদেশী রেডিমেট গার্মেন্টসের হোলসেল দোকান করতেন ।সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সঙ্কটের ফলে, শিশু এবং নারীদের রেডিমেট গার্মেন্টস এর দোকানে নারী বিক্রেতা বাধ্যতামূলক হবার পর, বাংলাদেশী রেডিমেট গার্মেন্টস ব্যবসাতেও ধ্বস নামে ।

নিজের ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হন মুকুট !দুই মাস আগে রিয়াদ থেকে জেদ্দা খালাত ভাইয়ের কাছে যান, খালাত ভাইয়ের ব্যবাসা দেখাশোনার পাশাপাশি নিজেও নতুন কিছু করবার আশায় । দুই মাস পরেই ঘুমের মধ্যে লাশ হয়ে গেলেন ।৭ জুন সেহেরি খেয়ে ঘুমানোর পর, দুপুরের দিকে এক বড় ভাই তাকে ডাকতে আসেন । ডেকে সাড়া না পেয়ে তিনি ভালোভাবে দেখে বুঝতে পারেন, ঘুমন্ত মুকুটের নিঃশ্বাস চলছে না ।

ডাক্তারি রিপোর্ট বলছে, ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুকুট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।মুকুট সায়েম খোরশেদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগর । মরম পাড়ার মরহুম খোরশেদ মাস্টারের ছোট ছেলে মুকুট । তারা দুই ভাই ৫ বোন । রাঙ্গুনিয়া কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় মুকুট প্রবাসী হন ।মুকুটের লাশ জেদ্দাতে হাসপাতালের হিমাঘারে রয়েছে । মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে ।